লাবাং। বিশ্বের সর্ববৃহৎ কৃত্রিম ভাষা। যদিও বর্তমানে এই ভাষা সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানে, অনর্গলভাবে বলতে পারে হাতেগোণা কয়েকজন, তবু্ও একদিন এ ভাষা বাংলার তথা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভাষা হবে— এ আশা আমরা বুকে বাঁধতেই পারি। আমরা— মানে 'LDRI'-এর কয়েকজন, যারা এই ভাষাকে আরও সমৃদ্ধ, আরও সহজ করতে সঁপে দিয়েছি নিজেদের। 'LDRI' মানে Labang Development and Research Institute. সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানই 'লাবাং'-এর মূল নিয়ন্ত্রক। যাইহোক, 'লাবাং' বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। 

'লাবাং' পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডার বিশিষ্ট স্বতন্ত্র ভাষা। পৃথিবীর প্রায় সব ভাষায় কালের পরিক্রমায় পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে আজকের দশায় উপস্থিত। কিন্তু 'লাবাং' এসব জটিল পরিবর্তনের মাধ্যমে আসেনি। শতভাগ কৃত্রিমভাবে উদ্ভাবিত এ ভাষা হতে পারে ভবিষ্যতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা। 'লাবাং' ভাষার শব্দভাণ্ডারে বাংলার প্রায় তিনগুণ শব্দ রয়েছে। অনেকে 'লাবাং'কে বাংলার কপি মনে করে। আসলে গুটিকয়েক শব্দ ছাড়া বাংলার ছিঁটেফোঁটাও 'লাবাং'-এ নেই। 'লাবাং' ভাষার শব্দের উচ্চারণেও রয়েছে ব্যাপক ভিন্নতা। বাংলা ভাষায় কোন কিছু লিখতে হলে অনেকেই বানান বিভ্রাটে পড়েন। 'লাবাং'-এ কিন্তু সে ঝামেলা নেই। 'লাবাং' হলো উচ্চারণনির্ভর ভাষা, অর্থাৎ যা উচ্চারণ করবেন তাই শব্দের বানান। বাংলায় যেমন 'স' কখনো 'স' আবার কখনো 'শ'-এর মতো উচ্চারিত হয়, সে ঝামেলাও 'লাবাং'-এ নেই। 'লাবাং' ভাষার গঠন বর্ণমালা পরবর্তী পর্বেই জানবেন।